মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানু,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া জেলার শাহাজানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৌলধুপরি পশ্চিম পারার বাবলু প্রামানিকের তিন সন্তানের মর্ধ্যে বড় ছেলে মোঃ সাজু মিয়া বাবার কৃষিজমি চাষের পাশাপাশি কামলা দিয়ে চলছিলো তার জীবন। ছয় বছর বয়স থেকে মাছ ধরতে খুব নেসা ছিলো তার বিভিন্ন যায়গায় মাছও ধরে বেরাতেন তিনি সেই থেকে মনে মনে ইচ্ছা ছিলো মাছ চাষের। শুরুতে ২০০৬ শালে কৃষি কাজের জমানো ১৬হাজার টাকা দিয়ে একটি ষার গরু কিনে ১বৎসর পালনের পর ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দুই বিঘা জমি ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে তিনবৎসরের চুক্তিতে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি, ১২ হাজার টাকা রাখেন মাছের খাদ্য খাওয়ানোর জন্য।
২হাজার টাকা দিয়ে ২ কেজি মাছের রেনু কিনে দিঘীতে ছারেন। এক মাস পরে ২২ হাজার টাকায় পোনা বিক্রি করেন। ২২হাজার থেকে ছয়হাজার টাকা দিয়ে বড় (৮০)আশি পিচ মাছ যার ওজন ছিলো (১) একমন চৈত্র মাসে সবাই মাছ বিক্রি করে ৯০হাজার টাকায় সেখানে খরচ হয়েছিলো ৫০হাজার টাকা সেই সময় লাভ হয়েছিলো ৪০হাজার টাকা। লাভসহ ৫০হাজার টাকা ব্রাকের বাঘবাড়ী শাখা থেকে তুলে একটি পুকুর নেন ৬০হাজার টাকায় লিজ নিয়ে এভাবে চলতে তাকে পুকুর দিঘী বিলে মাছ চাষ। ২০১৫ সালে ৫টা
দিঘী একটি বিল ২০বীঘার সেখানে সব মিলিয়ে ১০লাখ টাকার প্রজেক্ট করে তার আশা ছিলো ১৫লাখ টাকা, কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ২০১৫ সালের শেষের দিকে পানিতে গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) দিয়ে ১৫লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলে দুষ্কৃতিকারীরা। মৎস আইনে মামলা করে আমরাই বছর পরে মামলা আপোস করেন এলাকার মেম্বর চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী । সেই সময় এনজিও ২০হাজার টাকা মাপ করে দেন। বেচারা নাচোর বান্দা ২০১৬ সালে আবারো এনজিও ব্রাক থেকে ১লাখ টাকা লোন নিয়ে শুরু করেন মাছ চাষ। এভাবেই অনেক ঝক্কি সামলানোর পরেও থেমে থাকেনি তার মাছ চাষ ২০২০ সালে ৩৫ বিঘা পুকুর/দিঘিতে মাছ চাষ করেন ১০লাখ টাকার প্রজেক্ট। গত বুধবার রাতে দের বিঘা পুকুরে বিষ দিয়ে ১লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেন দুষ্কৃতিকারীরা। তিনি শ্যামল বাংলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানুকে খুব আক্ষেপ করে বলেন আমি আর মাছ চাষ করবোনা আমার প্রতিবার এভাবে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলছে এ-র কোনো সমাধান নেই বিধায়। এখন কৃষি জমি গবাদিপশু পালনের পাশাপাশি মানুষের বাড়ীতে কামলা দিয়ে খাবেন প্রয়োজনে তবু মানুষের অত্যাচার আর সয্য করতে পারবোনা।