মোঃ নুর আলম সিদ্দিকী মানু ঃ
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার গংগাচড়ার উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের কাংখিত আশা আখাংকা পুরনের জন্য গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদ নামক কমিটি গঠন করে সকলের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন আবু আহমেদ সুমন , আব্দুল্লাহ আল হাদী সহ কমিটির সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মার্ধ্যমে উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের আশা আকাংখা সহ বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থান যেখানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থানের মর্ধ্য দিয়ে ১ লাখ ৫০হাজার পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করার প্রচেষ্টায় আবু আহমেদ সুমন বলেন আজ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবণ চৌধুরী স্যারের সাথে গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের প্রতিনিধি দলের প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মসিউর রহমান রাঙ্গা মহোদয়ের নেতৃত্বে আলোচনা সফল হয়েছে বলে গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্টাতা ও মুখপাত্র আবু আহম্মেদ সুমন শ্যামল বাংলার বিশেষ এ প্রতিবেককে বলেন বলেন ইনশাআল্লাহ, অতিদ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে। তিনি আরোও বলেন
গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব আখতারুজ্জামান স্যারের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গংগাচড়া উপজেলা সহ তিস্তা পাড়ের সবকটি উপজেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হতে যাচ্ছে সরকারে এই তিস্তা নিয়ে মহা পরিকল্পনায়।
ভারতের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিস্তা মহা প্রকল্পের কাজ চীন কে দিয়ে করাবে বাংলাদেশ!
বছরের পর বছর ভারতের সাথে কূটনৈতিক ভাবে তিস্তা নদীর ব্যাবস্থাপনা নিয়ে সমস্যার সমাধান চাওয়া হলেও ভারতীয় পক্ষ থেকে কার্যত বিষয়টি অচল করে রাখা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনকে দিয়ে ‘তিস্তা নদী মহা ব্যাবস্থাপনা এবং পুনর্বাসন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করার।
শুধু এখানেই শেষ নয়। এর অর্থায়নের জন্য চীনের কাছে $৯৮৩.২৭ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ!
বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তার দুই পাশে প্রতি বছর বন্যা হচ্ছে যার কারনে নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে পানির তীব্র সঙ্কটে কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
৩১৫ কিলোমিটারের ভেতর ১১৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তিস্তার উজানে ভারতের সিকিমে তিনটির বেশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া পশ্চিম বঙ্গে দুটি সেচ প্রকল্প রয়েছে এই নদীর পানি সরিয়ে। উজানে ভারতের বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না।
বিগত ৮ বছর যাবত পশ্চিম বঙ্গের মূখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তিব্র বিরোধীতায় আটকে আছে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি।
বাংলাদেশ চীনের অর্থায়নে এবং সহায়তায় যেই প্রকল্প নিচ্ছে এতে বন্যাও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে সেই সাথে শীত মৌসুমে পানির অভাব আর থাকবে না।
কি কি পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ :-
১. তিস্তা নদীর দুই পাড় মিলিয়ে ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট উঁচু গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
২. বাঁধের দুই পাশে থাকবে প্রশস্ত রিভার ড্রাইভ রোড।
৩. নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হবে হোটেল, রেষ্টুরেন্ট।
৪. নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়ে প্রশস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নদী গভীর করে খনন করা হবে।
৫. আর নদীর প্রশস্ততা এখন কোথাও ৮ কি:মি: কোথাও ১২ কি:মি:। শুস্কমৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে দেখা দেয় মরুভূমির মত। তাই এটাকে কমিয়ে ২ কি:মি: করা হবে।
৬. নদী থেকে প্রায় ৮৮০ বর্গকি:মি: জমি উদ্ধার হবে। (গড় ১০ কি:মি: প্রশস্ততা ধরা হয়েছে। তার থেকে ২ কি:মি: নদী রেখে ৮ কি:মি: উদ্ধারকৃত জমি হিসাবে ১১০ কি:মি: নদীতে ৮৮০ কি:মি: এর মত হয়)
৭. উদ্ধারকৃত জমিতে ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে।
৮. উদ্ধারকৃত নদী পাড়ে থাকবে ইকোনমি জোন।
৯. নদী খনন করে গভীরতা বাড়িয়ে চালু করা হবে নৌ রুট।
১০. নতুন জমিতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসের জন্য আবাসিক এলাকা তৈরি হবে।
১১. উদ্ধারকৃত জমি ভুমিহীনদের মাঝে কৃষি কাজের জন্য বিতরণ করা হবে।
১২. ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের নবগঠিত কমিটির অনেকেই বলেন,
গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্টাতা ও মুখপাত্র আবু আহম্মেদ সুমন ভাইয়ের প্রতি রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
উপদেষ্টা কমান্ডার বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রতি রইলো প্রানঢালা শ্রদ্ধা।
আজকের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লা আল হাদী চেয়ারম্যান, কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম আজাদ টিটুল চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রামাণিক লিপ্টন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার আজিজুল ইসলাম চেয়ারম্যান এবং টুনু মেম্বার। জনাব আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন,
গংগাচড়া উন্নয়ন পরিষদের প্রতিনিধি দলের সকল কে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ ।