এম, এ মান্নান লাকসাম (কুমিল্লা)প্রতিনিধি
কুমিল্লার মনোহরগুন্জ উপজেলার সাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশত বছরের পুরাতন ইউকেল্যাক্টর গাছ প্রকাশ্য কেটে নিয়েছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোলেমান মিয়া। তিনি নোয়াখালীর নদনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই বিদ্যালয় ক্যাম্পাস সীমানার পর্ব পাশের দেয়ালের কোলঘেঁষে গাছটি ছিল। গত ৭-৮ দিন আগে ওই গাছটি কেটে নিয়ে যায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ।এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির সোলেমান মিয়ার বলেন, স্কুলের কাজের জন্যই সবাইকে জানিয়ে মৃত একটি গাছ কাটা হয়েছে। স্হানীয় মেম্বার কবির মিয়ার কাছে ৭ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। সে টাকা দিয়ে স্কুলের মাঠে মাটি পালানো হবে।
এলাকাবাসী ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সরেষপুর ইউনিয়নে সাটরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক পুরাতন একটি ইউকেল্যাক্টর গাছ ছিলো। হঠাৎ করে ৭/৮ দিন আগে স্কুল মাঠের সামনে থেকে স্কুলের সভাপতি সোলেমান মিয়া নির্দেশে প্রায় অর্ধশত লাখ টাকার দামের একটি পুরাতন ওই গাছটি কেটে ফেলা হয়। পরে সভাপতি সোলমান, রিপন ও হুমায়ুন মিলে স্হানীয় মেম্বার কবির মিয়ার কাছে ১০ হাজার টাকা বিক্রয় করেন। মেম্বার কবির মিয়া ওই গাছটি কম দামে ক্রয় করলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরদিন গাছগুলো ‘স’ মিলে নেয়ার জন্য খণ্ড খণ্ড ডুম তৈরি করে রাখা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে ছুটিতে বাড়ীতে আছি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির আমাকে না জানিয়ে স্কুলের গাছটি কেটেছে। পরে আমি খণ্ড খণ্ড গাছগুলো স’মিলে না নেওয়ার জন্য তাদেরকে বলে দয়েছি।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে স্কুলে কোনো মিটিং হয়নি। এমন পুরাতন একটি গাছ কাউকে না জানিয়ে কেটে ফেলা খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে স্হানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানার পর প্রধান শিক্ষককে বলছ। একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। তার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।