আব্দুর রকিব, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : শ্রীনগরে উপজেলার ষোলঘর
ইয়াসমিন দেলোয়ার ডায়াগনষ্টিক এন্ড মর্ডান হাসপাতালের
বিরুদ্ধে রক্ত পরীক্ষায় একাধিক বার ভূল রির্পোটের অভিযোগ
পাওয়াগেছে।
উপজেলার ষোলঘর গ্রামের ভূক্তভোগী আনিছ মীরের ছেলে
বোরহান উদ্দিন (২৫) অভিযোগ করে বলেন, ইংরেজী ২০২০ সালের
৪ জানুয়ারি আমার বন্ধু আবেদ আমাকে জানায়, ডেলিভারী
জন্য ওর মামীকে ইয়াসমিন দেলোয়ার ডায়াগনষ্টিকে ভর্তি
করান হয়েছে। তার জন্য রক্তের প্রয়োজন। আমি রক্ত দেওয়ার জন্য
হাসপাতালে এলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমার রক্ত পরীক্ষা করে জানায়,
রক্তে এইসবিএস পাওয়াগেছে। হাসপাতাল থেকে এমন খবর
শোনার পর আমি খুব চিন্তায় পরে যাই। কারন বিদেশ যাওয়ার
জন্য কয়েক দিন আগে আমি রক্ত পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব
ধরনের মেডিকেল পরীক্ষা করালে তাতে রির্পোট ভাল আসে। রক্তে কত
পার্সেন্ট এইসবিএস রয়েছে তা জানার জন্য ১০ জানুয়ারি
পূনরায় আমি আবারও ইয়াসমিন দেলোয়ার ডায়াগনাষ্টিক
হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করাই। এরপর ৫ মার্চ বঙ্গবদ্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরীক্ষা করালে সেখানকার রির্পোটে
এইসবিএস পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ইয়াসমিন দেলোয়ার ডায়গনাষ্টিক হাসপাত
কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যখন আমাদের
হাসপতালে রক্ত পরীক্ষা করান। তখন রক্তে এসবিএস ধরা পরেছিল।
এখন শরীর সুস্থ্য তাই, অন্য হাসপাতালের পরীক্ষায় এইসবিএস
পাওয়া যায়নি।
কিছুদিন পর ১৮ এপ্রিল আমি বিক্রমপুর ব-াড ডোনেশন
ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইয়াছমিন দেলোয়ার ডায়াগনষ্টিকে রক্ত
পরীক্ষা করালে হাসপাতাল থেকে রির্পোট দেওয়া হয় আমার রক্তেএইসবিএস রয়েছে। ওই দিনই আমি উপজেলার ফেমাস জেনারেল
হাসপাতালে আবারও রক্ত পরীক্ষা করাই। কিন্ত তাদের রির্পোটে
আমার রক্তে এইসবিএস পাওয়া জায়নি।
বোরহান উদ্দিন আরো জানায়, তখন অন্য হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায়
এইসবিএস না পাওয়ার বিষয়ে ইয়াসমিন দেলোয়ার
ডায়াগনষ্টিক এন্ড মর্ডান হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে
জানতে চাইলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমার সাথে খারাপ আচারন
করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে
আসা বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ইয়াসমিন দেলোয়ার হাসপাতাল
কতৃপক্ষ অসুভ আচারন করেন। শুরুতেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে বড়সর
কয়েকটি অনুষ্ঠান করে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করলেও কয়েক বছর
যেতে না যেতেই সেবার নামে সাধারন মানুষের গলাকাটা শুরু
করেন। ইতি পূর্বেও হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে চিকিৎসা
নিতে আসা একাধিক সাধারন রোগীর বাক্ বিতম্বনার
ঘটনাসহ হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এছারা প্রায় ২ মাস
আগে রির্পোট করতে আসা এক রোগীর সাথে হাসপাতাল
কতৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিসহ মারপিটের ঘটনা ঘটলে। শেষ
পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্তন করে।
কিছুদিন পর পরই শোনা যায় ইয়াসমিন দেলোয়ার হাসপাতালের
গুন কৃর্তন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ডাইরেক্টোর রবিন মিয়ার কাছে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে মিমাংসা করে ফেলেছি। এমনকি
বোরহান উদ্দিনের পিতাকে দু’হাজার টাকাও দিয়েছি।
বোরহান উদ্দিনের পিতা আনিছ মীরের কাছে জাতে
চাইলে,তিনি বলেন দেলোয়ার মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া মিথ্যা
বলেছে। আমাকে কেন টাকা দেইনায়। বরং ভূল রির্পোটের কথাজানতে চাইলে সে ও তার হাসপাতালের অন্যান্য সদস্যরা আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরন করেন।