প্রবাসে পাঠানো টাকা ও পারিবারিক কলহের
কেন্দ্র করে একমাত্র ছেলে দুলাল মিয়ার হাতের ঘুষিতে না-মুখ ফেটে গুরুতর আহত অবস্থায়
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বাবা মোশাররফ হোসেন (৬০)। ঘটনাটি ঘটেছে (২২ সেপ্টেম্বর) বুধবার রাতে কুমিল্লার মনোহরগুন্জ উপজেলা খিলা ইউনিয়ন তাহেরপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেনের বোন কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) দুলাল মিয়া বিরুদ্ধে ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। বর্তমান বাবা মোশাররফ হোসেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বিভিন্নভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি তুলতে অভিযোগকারীকে
প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কোহিনূর।
বৃহস্পতিবার রাতে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুল কবির বলেন, আহত মোশাররফ হোসেন বোন কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে দুলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলা খিলা ইউনিয়নে তাহেরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন তার নিজস্ব সম্পত্তি বিক্রির টাকা দিয়ে একমাত্র ছেলে দুলাল মিয়াকে প্রবাস ওমানে পাঠান বাবা মোশাররফ।পাঁচ বছর প্রবাস কাটিয়ে গত তিন মাস পূর্বে দেশে ফিরে এসে বিবাহ করেন ছেলে দুলাল মিয়া। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ও দেশে ফিরে এলেও বাবা-মাকে টাকা না দিয়ে উল্টো বাবা’র জমানো টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবারের অজান্তে বিবাহ অনুষ্ঠানে খরছ করেন ছেলে দুলাল। গত কয়েকদিন পূর্বে দুলাল মিয়া পূনরায় প্রবাসে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে টাকা দাবি করেন। বাবা মোশাররফ ছেলের প্রস্তাব রাজি না হয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ বিষয় নিয়ে বাবা-ছেলে সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশি বসেন অনেক বার। প্রবাসে পাঠানো টাকা ও পারিবারিক কলহের কেন্দ্র করে ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে পূনরায় ছেলে- বাবা-র মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ের ছেলে দুলাল মিয়া বাবা মোশাররফকে লাঞ্ছিত করে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে চালানো হয়। শরিলে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বিক্ষত করে না-মুখ ফেটে গুরুতর আহত করে।
মোশাররফ আত্ম চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান আত্নগোপনে থাকলেও
রাতে অভিযুক্ত দুলাল মিয়ার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি বলেন, প্রবাসে পাঠানো টাকা নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। বাবাকে আমি মারধর করিনাই, কোহিনুর আমার ফুফু মা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা।