1. nerobtuner@gmail.com : শ্যামল বাংলা : শ্যামল বাংলা
  2. omarfarukbd12@gmail.com : শ্যামল বাংলা : শ্যামল বাংলা
  3. info@shamolbangla.net : শ্যামল বাংলা : শ্যামল বাংলা
খুটাখালীতে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত জখম - দৈনিক শ্যামল বাংলা
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

খুটাখালীতে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত জখম

কক্সবাজার প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২
  • ২৯৯ বার

ফেসবুকে পোষ্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে সিফাত ইমতিশাদ নিহাল (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একদল শিক্ষার্থী মেরে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্কুল চলাকালীন সময়ে দশম শ্রেনীর ছাত্র জনি মারুফ, হাবিব,আরফাত ও জায়েনসহ ১০/১২ জন শিক্ষার্থী স্কুল হলে তাকে নির্যাতন করে। এতে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম এবং নাকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় স্কুলে ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।

আহত ঐ শিক্ষার্থী হলেন কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের ভোকেশনাল বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড স্কুল পাড়ার প্রবাসী নুরুল আবছার হেলালীর পুত্র। তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একইদিন বিকেলে চকরিয়া থানায় লিখিত এজহার দায়ের করা হয়েছে এবং রাতে অভিযুক্ত ছাত্র অভিভাবকদের থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, সিফাত ইমতিশাদ নিহাল ঐ স্কুলের ভোকেশনাল বিভাগের ছাত্র। গত ৭ মার্চের স্কুলের একটি অনুষ্টানের ভিডিও তার ফেসবুকে পোষ্ট করেন। এর জের ধরে শনিবার সকালে অভিযুক্তদের সাথে বাকবিকন্ডা হয় নিহালের সাথে। এসময় নিহাল তাদের উপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা তাকে বেদম মারধর করেন।
একপর্যায়ে তার শোরচিৎকারে সহপার্টিরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।

নিহালের বাবা নুরুল আবছার হেলালী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নিজে ঐ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলাম। এমনতর বর্বর ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্কুলে ঘটেনি। আমি ঘটনার সুষ্ট তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

আহত শিক্ষার্থী নিহাল জানান, স্কুলের অনুষ্টানের একটি ভিডিও আমার ফেসবুকে পোষ্ট করি। যার শিরোনাম ছিল এটা কি স্কুল নাকি অন্যকিছু। এ পোষ্টের জের ধরে মুলত অভিযুক্তরা দলবেঁধে আমাকে মারধর করে আহত করেছে। খবর পেয়ে আমার বাবা ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ঘটনার সময় নিহাল শুরুতে তাদের একজনকে মারধর করেছে বলে দাবী করেন।

জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ঐ সময় আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। খবর পেয়ে ঐ ছাত্রকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরনের ব্যবস্থা করি। পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষ হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

চাকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওসমান গনি লিখিত এজহার দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই জড়িত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পুলিশী হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

মন্তব্য করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2025 sweb.net
ডেভলপ ও কারিগরী সহায়তায় sweb.net