গোদাগাড়ী প্রতিনিধি :-

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা একটি মাদক প্রবন এলাকা। মাদককেন্দ্রিক এই থানায় হরহামেশাই মাদক গ্রেফতারের খবর মেলে। সরকার পতনের পর কয়েকজন ওসির বদলীর ফলে মাদক কারবারীরা হয়েছেন সক্রিয়। প্রায় ১ মাস যাবত এই থানা ওসি শূন্য। এতে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না অনেকেই।

এই থানার তথ্য মতে , গত ০৯ আগস্ট ওসি আব্দুল মতিনের বদলি হয়। একই দিন নতুন ওসি হিসাবে যোগদান করেন ওসি মোঃ আতাউর রহমান। তিনি ১ মাস ৬ দিন অবস্থান করার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর বদলি হন। আসেন ওসি মনিরুল ইসলাম। তিনিও টিকতে পারেননি বেশিদিন।

৬ অক্টোবর মনিরুল ইসলামের বদলির পর গোদাগাড়ী মডেল থানা ওসি শূন্য। এতে বেড়েছে মাদকের প্রবনতা, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
তবে সাধ্যমত জনগণের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন গোদাগাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি ওসির  অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জনগণের চাহিদার তুলনায় এই থানায় জনবল কম। সে কারণে সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি জানান, গোদাগাড়ী থানায় প্রায় ৬০ জন স্টাফ আছেন।এরমধ্যে পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ৮ জন, উপ পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) ১০ জন এবং ৪২ জন কনস্টেবল। গোদাগাড়ী থানা এরিয়া বিশাল।যার তুলনায় পুলিশ সদস্য অনেক কম। এখানে ১ শ জন স্টাফ হলে জনগণের দূর্ভোগ কমতো

গোদাগাড়ী নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী জর্জ কোর্টের আইনজীবি সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, নাগরিকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত থানায় ওসির পলায়ন করা দরকার। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিন।
সেবা নিতে আসা মোহনপুর ইউনিয়নের মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৩০ অক্টোবর একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমার উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আমি ৩/৪ দিন যাবত বাড়িতে যেতে পারিনি।আমার স্ত্রী বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।এ অবস্থায় আমি সময় মত পুলিশের সহযোগিতা পাইনি। পরে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফার হস্তক্ষেপে আমি বাড়িতে যায়।

এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি বলেন, থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আছে আমি একটা পরীক্ষার বোর্ডে আছি এখন কথা বলতে পারব না, বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।