মাহমুদুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে নয়, স্পিডবোটে যাত্রী ভরপুর। তবুও নৌপথ নির্ভর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-পানপট্টি ও কোড়ালিয়া-বোয়ালিয়া নৌরুটে স্পিডবোটে পারাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপারতো হচ্ছেই না। বরংচো আগে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর এখন ভাড়া ১৫০ টাকা।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহণে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে সারাদেশের সঙ্গে এ উপজেলার মানুষের যোগাযোগের কোড়ালিয়া-পানপট্টি ও কোড়ালিয়া-বোয়ালিয়া নৌরুটে চলাচল করা স্পিডবোটে তা মানছেন না বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুই স্পিডবোট ঘাটে সরেজিমনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। হাতে নেই হ্যান্ড গ্লোভস । যাত্রী সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশক ব্যবহার করছে না স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ। আরও দেখা গেছে, ঘাটে নির্দিষ্ট ভাড়ার কোন চার্ট টানানো নেই। উপজেলার নয়া ভাংগুনি গ্রামের যাত্রী ইমাম হোসেন বলেন, স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছে খুশি মত ভাড়া বাড়ায়-কমায়। তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় অসহায় যাত্রীরা।

গত এক সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেক যাত্রী। জাকারিয়া মাহমুদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আগে ভাড়া যখন ৬০ টাকা ছিল, তখন ১৪-২০ জন যাত্রী হলেই স্পিডবোট ছাড়তো। সেই একই সংখ্যক যাত্রী নিয়েই স্পিডবোট ছাড়ে, কিন্তু এখন ভাড়া বাড়িয়ে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।’ তবে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের দাবি, সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’