শাহজালাল শাহেদ, চকরিয়া:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৩০ আগস্ট) বিকালে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাউছার উদ্দীন কছিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহম্মদ বাহাদুর। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবসমাজের প্রিয় মুখ শহিদুল হক সোহেল।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহম্মদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দীন জয়নাল, আজিমুল হক চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট লুৎফুর কবির, মোঃ কাইছার, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন। এসময় উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শোক দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম বলেছেন, শোকের মাস আগস্ট আসলেই সেই ৭৫ এর মতো দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা খন্দকার মোস্তাকের উত্তরসুরীরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মোস্তাকের লোকজন। আজকের শোকদিবসের ডাক হোক, যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সেই ষড়যন্ত্রকরারীদের কঠোর হস্তে মোকাবেলা করতে হবে। তাদের বিষদাঁদ ভেঙ্গে দিতে হবে।
এমপি জাফর আলম আরও বলেন, ৭৫-এর কালো রাতে জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলাকে সাম্প্রদায়িক দুঃশাসনের পাকিস্তানে পরিনত করার চেষ্টা করেছেন খুনি জিয়াউর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রের স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে সেই নারকীয় পরিবেশ থেকে উন্নত জীবন উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিক সু-শাসনের মধ্যদিয়ে এ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং গণ-মানুষের অধিকার সু-নিশ্চিত করে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে উপনিত করেছেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, ১৯৭৫ সালের মূল উদ্দেশ্য পুরণে ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। সেবারও তারা ব্যর্থ হয়। তাই আগামীতে চোখ কান খোলা রেখে যুবলীগ নেতাকর্মীদের রাজপথে সজাগ থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে।