আমি হাসান আলী, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মনজুর আলম চেয়ারম্যানের ছোট ভাই এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি।
বুধবার কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা আজকের কক্সবাজার বার্তা সহ বেশকটি অনলাইন পোর্টালে “ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি থেকে ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
পক্ষান্তরে আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমার বড় ভাই আমৃত্যু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
সংবাদে আমার বিরুদ্ধে যে সকল তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়েছে তা সঠিক নয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে এ সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমি উক্ত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এছাড়া প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার মিল না থাকায় আমি জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদে আমাকে জোর করে ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি বানিয়ে নানা রঙ মেখে যে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে তাহা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নই।
আমি কোন সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এমনকি ২০১২ সালে ইসলামপুর যুবদলের কমিটিতে তিন নাম্বারে আমাকে সহ সভাপতি তকমা দিয়ে একটা চক্র মনজুর চেয়ারম্যানের পরিবারকে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অথচ, আমার বড় ভাই মনজুর আলম চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি থাকা কালীন আমি ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য ছিলাম। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে ইউনিয়ন কমিটি ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে আমাকে ইউনিয়ন আ’লীগের সহ সভাপতি হিসাবে আসীন করে। সে থেকে আজ অবধি ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছি এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
মুলতঃ আমার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় করার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের বিভ্রান্ত করেছে।
সংবাদে আমাকে মামলার আসামী আখ্যা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা ও পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
বিগত ২০০৭ সালে তৎকালীন জোট সরকার আমার পরিবারের বেশ কজনকে রাজনৈতিক হয়রানি মামলায় জড়িত করেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বর্তমান আ’লীগ সরকারের আমলে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে উক্ত মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানিমুলক ঐ মামলা থেকে আমারা খালাস পাই।
এসব দিবা লোকের মত সত্য ঘটনাকে মহল বিশেষ পুঁজি করে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। কারন আমার পরিবার আ’লীগ পরিবারের। মনজুর চেয়ারম্যান ছিলেন গরীবের বন্ধু, ইসলামপুর জনপদের নিবেদিত প্রাণ ও আ’লীগের সৈনিক।
এই ইতিহাস কখনো ইসলামপুরবাসী ভুলবেনা আশা করি।
আমি এসব অপপ্রচারে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দকে বিভান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে, উক্ত বিষয়াদি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
পাশাপাশি আমাকে ঈদগাঁও উপজেলা আ’লীগের সদস্য হিসাবে মনোনীত করায় সংশ্লিষ্টদের জানাই মুবারকবাদ।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। হাসান আলী, সহ-সভাপতি, ইসলামপুর ইউনিয়ন আ’লীগ ও সদস্য
ঈদগাঁও উপজেলা আ’লীগ।